

বাংলাদেশ চীন সরকারের পাশাপাশি দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক সফরের মাধ্যমেই এই প্রতিশ্রুতি এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
শুক্রবার এক ঘোষণায় প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, প্রায় ৩০টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে এক্সক্লুসিভ চায়না ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনও এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চীনের প্রতিশ্রুত বিনিয়োগের মধ্যে মংলা বন্দর আধুনিকায়নের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ, চায়না ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনের উন্নয়নে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য ১৫০ মিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণের মাধ্যমে আসবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, প্রধান উপদেষ্টার এই সফর চীনা বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় ড. ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের জন্য সবুজ সংকেত দিতে অনুরোধ করেন। জবাবে প্রেসিডেন্ট শি চীনা কোম্পানিগুলোকে তাদের উৎপাদন কেন্দ্র বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে স্থানান্তরের বিষয়ে উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বেইজিংয়ে আয়োজিত তিনটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে ড. ইউনূস ও আশিক চৌধুরী বিশ্বের বৃহত্তম কিছু কোম্পানিসহ ১০০টিরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তারা উন্নত বস্ত্রশিল্প, ওষুধশিল্প, হালকা প্রকৌশল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এই সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, এটি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।