এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া
বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাহজাহানপুর) আসনের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচিত নাম জননেতা মোরশেদ মিল্টন। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতিতে সুপ্রতিষ্ঠিত নেতৃত্বের আসনে পৌঁছেছেন। বর্তমানে তিনি বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং গাবতলী পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র হিসেবে দীর্ঘদিন জনসেবার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আসে এবং তৃণমূল মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হন তিনি।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মোরশেদ মিল্টন। সেই নির্বাচনে নানা প্রতিকূলতা ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও তিনি সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেন। এলাকার মানুষ এখনো সেই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ও তার নেতৃত্বগুণকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে থাকেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। দলের তৃণমূল মনে করে, জাতীয় রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো নেতৃত্ব কেবলমাত্র দেশনেতা তারেক রহমান অথবা তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাতেই রয়েছে। তারা যদি সরাসরি প্রার্থী না হন, তবে বিকল্প হিসেবে বগুড়া-৭ আসনে আবারও মোরশেদ মিল্টনকে দেখতে চায় এলাকাবাসী।
গাবতলী ও শাহজাহানপুরের তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, “মোরশেদ মিল্টন আমাদের পরীক্ষিত নেতা। সুখে-দুঃখে তিনি সব সময় আমাদের পাশে থেকেছেন। তিনি দলের সংকটকালীন সময়ে যে ভূমিকা রেখেছেন, তা অতুলনীয়।” তাদের মতে, মোরশেদ মিল্টনকে মনোনয়ন দিলে তৃণমূল আরও উজ্জীবিত হবে এবং নির্বাচনে বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়বে।
এলাকার সাধারণ ভোটাররাও জানান, মোরশেদ মিল্টনের নেতৃত্বে গাবতলী-শাহজাহানপুরে বিএনপি সংগঠিত ও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ নন, মানবিক গুণাবলীর কারণেও এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। দরিদ্র-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সামাজিক সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া এবং শিক্ষা-সংস্কৃতির উন্নয়নে সহযোগিতা করার কারণে তিনি তৃণমূলের কাছে একজন নির্ভরযোগ্য অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি যদি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়, তবে তৃণমূলের সাথে সম্পৃক্ত এবং দীর্ঘদিনের সংগ্রামী নেতৃত্ব মোরশেদ মিল্টনকে প্রার্থী করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। কারণ জনগণের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ এবং দলীয় কর্মীদের প্রতি আন্তরিকতা তাকে অন্য সবার চেয়ে আলাদা করেছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বগুড়া-৭ আসনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মোরশেদ মিল্টন এখন শুধু একজন নেতা নন, বরং তৃণমূল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। বিএনপির আগামী প্রার্থী হিসেবে তাকে পেতে তৃণমূল জোর দাবি তুলেছে। আর সেই দাবির প্রতিফলন ঘটবে কি না—তা নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ওপর। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, জননেতা মোরশেদ মিল্টনই বগুড়া-৭ আসনের রাজনীতিতে আগামী দিনে বড় ভূমিকা রাখবেন।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron