

ছাত্র-জনতাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় শনিবার গাজীপুরের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। শনিবার থেকেই গাজীপুর এলাকাসহ সারাদেশে এই অভিযান শুরু হবে।
এর আগে গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বিকেলে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ তথ্য জানান।
এদিকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর ব্যাপারে রোববার প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট ঠেকাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২০ নেতাকর্মী আহত হন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মাহিম জানান, আ ক ম মোজাম্মেল হকের ধীরাশ্রমের বাড়িতে লুটপাট হচ্ছে, এমন খবরে লুটপাট ঠেকাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। পরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও এলাকাবাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন কমপক্ষে ২০ জন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরে রাত ৩টার দিকে আহতদের হাসপাতালে দেখতে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম। এ সময় তারা আহত নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর নেন তারা।