

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ পুলিশি হামলায় আহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ মে) বিকেল ৩টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাকরাইল সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন, এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সড়ক অবরোধের সময় পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, যার ফলে শতাধিক মানুষ আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩৮ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, এবং এ ঘটনায় পুলিশি বিচার দাবি করছি।”
তিন দফা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনকারীরা সকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চ শুরু করেন। সেদিনের ঘটনায় পুলিশের হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে ৩৮ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এখন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি:
১. জবির ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে।
২. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের অনুমোদন দিয়ে একনেক সভায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সরকার কিংবা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
4o mini