পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও জাতিসংঘের বাংলাদেশ আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইসের মধ্যে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত পানি ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, নদী পুনরুদ্ধার এবং পরিবেশ রক্ষায় সমন্বিত ব্যবস্থাপনার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করা হয়। পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “সব পরিকল্পনা ও বিশ্লেষণ শেষে এখন বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। অন্তত দুই-তিনটি প্রকল্প দিয়েই কার্যকর উদ্যোগ শুরু হোক।” তিনি উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে একটি নির্দিষ্ট দিনে সম্মেলনের প্রস্তাব দেন, যা মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় সহজ করবে বলে মনে করেন।
বৈঠকে ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান, হালনাগাদ এনডিসি এবং এডিবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সুইডেনের সঙ্গে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। সরকার, উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি খাতের যৌথ অর্থায়নে মডেল প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়েও উভয় পক্ষ সম্মত হন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাম্প্রতিক সাফল্যের মধ্যে বিভাগভিত্তিক নদী পুনরুদ্ধার, খাল সংস্কার এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জোর দেন, “প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পে গণশুনানি বাধ্যতামূলক করতে হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।”
জাতিসংঘের প্রতিনিধি গুইন লুইস বাংলাদেশের পরিবেশ সংরক্ষণে নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “জাতীয় নীতির সঙ্গে স্থানীয় উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক লক্ষ্যকে সমন্বয় করেই এগিয়ে যেতে হবে।”
দীর্ঘ এক দশক ধরে অকার্যকর থাকা 'এনভায়রনমেন্ট কমিউনিটি অব প্র্যাকটিস' পুনরায় সক্রিয় করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি, কার্যকর আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতার জন্য কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, জাতিসংঘ অফিসের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ হর্ষদ গাইকোয়াড়সহ জাতিসংঘের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকটি শেষ হয় জলবায়ু ভাবনাকে বাস্তব কর্মে রূপান্তরের দৃঢ় অঙ্গীকারের মাধ্যমে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron