

জাতিসংঘ প্রকাশিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদনের কপি ঐতিহাসিক দলিল ও প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষণ, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জ্ঞানের ভাণ্ডারে রাখা এবং গবেষণায় ব্যবহারের লক্ষ্যে সংরক্ষণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের দ্বৈত বেঞ্চ এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ, যিনি গত বছরের ১৩ আগস্ট প্রথম রিটটি দাখিল করেছিলেন। রিটে তিনি গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসকদের টিকিয়ে রাখতে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়েছিলেন।
সেই রিটের প্রেক্ষাপটে আদালত সে সময় সাধারণ জনগণের ওপর সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার কেন নিশ্চিত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল।
পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের প্রকাশিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদন সংযুক্ত করে একটি সম্পূরক আবেদন দাখিল করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। এতে তিনি প্রতিবেদনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেন,
“এই প্রতিবেদনে প্রায় ১,৪০০ হত্যাকাণ্ডের তথ্য রয়েছে। তৎকালীন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, সহিংসতা, বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা— সবই এতে উঠে এসেছে। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ প্রামাণ্য দলিল।”
তিনি আরও বলেন,
“আমাদের মতে তিনটি উদ্দেশ্যে এই প্রতিবেদন সংরক্ষণ জরুরি:
১. ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানার জন্য।
২. বিচারিক কাজে এভিডেন্স হিসেবে ব্যবহারের জন্য।
৩. আন্তর্জাতিক গবেষণায় ব্যবহারযোগ্য প্রামাণ্য দলিল হিসেবে।”
আবেদনকারীর ভাষ্যমতে, ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনাল এ প্রতিবেদন আমলে নিয়েছে। তবে তা আদালতের রেকর্ডে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলেও মত দেন তিনি।
আদালত বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সংশ্লিষ্টদের প্রতি চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছে।