

জুলাই-আগস্টের স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার নির্দেশদাতাদের বড় অংশের বিচার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘জুলাই গণহত্যার বিচার আলোচনা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। এ আয়োজন করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চলছে
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শহীদ পরিবারের আবেগকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তেমনি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, আসামিদের অধিকার এবং বিচার প্রক্রিয়ার নিয়মতান্ত্রিকতা নিশ্চিত করেও কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “এ বিচার বছরের পর বছর চলবে না। বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি দেখে আমরা আশ্বস্ত করতে পারি, টপ কমান্ডারদের বিচার ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে।”
বিচারের অগ্রগতি
তিনি উল্লেখ করেন, দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসেরও কম সময়ে প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চারটি মামলার বিচার চলছে এবং অনেকগুলো অংশ সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়েছে। আগামী ৩ আগস্ট শেখ হাসিনার মামলায় প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
আবেগ বনাম বাস্তবতা
তাজুল ইসলাম বলেন, অনেকেই আবেগ থেকে প্রশ্ন করেন কেন এতদিনেও রায় হয়নি। কিন্তু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে যা মোবাইল কোর্টের মতো দ্রুত সম্ভব নয়। তবে এত অল্প সময়ে বিচার প্রক্রিয়ার দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে।
অনুষ্ঠানের অন্যান্য আয়োজন
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের। জুলাই আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া-মোনাজাত করা হয়। এরপর গণঅভ্যুত্থান নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শহীদ ইয়ামিনের বাবা মো. মহিউদ্দিন, শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ছাত্র প্রতিনিধি আরমান হোসন প্রমুখ।