

সরকারি চাকরিতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত কর্মচারীরাও এখন উচ্চতর গ্রেড পাবেন বলে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই রায়ে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী সরাসরি উপকৃত হবেন।
রায়ের বিবরণ
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায় বহাল রেখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০১৭ সালের পরিপত্রকে অবৈধ বলে রায় দেন।
পূর্বপটভূমি
২০১৫ সালের নতুন পে-স্কেলে বলা হয়েছিল, কোনো কর্মচারী যদি একই পদে ১০ ও ১৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন, তবে তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের পরিপত্র জানায়, কেউ দুইটির বেশি টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে থাকলে তিনি উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পাবেন না। এর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা রিট করেন।
আইনি দৃষ্টিভঙ্গি
রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল বলেন, “এই রায়ের ফলে সরকারি কর্মচারীদের স্বীকৃত আর্থিক সুবিধা আটকে দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।” তিনি জানান, আদালত মূল স্কেল অনুযায়ী উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রভাব ও তাৎপর্য
সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের আর্থিক বৈষম্য দূর হবে।
টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা আর বঞ্চিত হবেন না।
এই রায় বাস্তবায়নের ফলে সরকারের বার্ষিক ব্যয়ের কিছুটা বৃদ্ধি হতে পারে, তবে এতে কর্মচারীদের মনোবল ও কর্মদক্ষতা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।