

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক পরিবারের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গহরডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে একই পরিবারের সদস্য মাহমুদ ও ইমামের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী নাজনীন আক্তার অভিযোগ করে জানান, তার স্বামী মাহফুজুর রহমান ঢাকায় চাকরি করেন, আর তিনি সন্তানদের নিয়ে নিজ বসতভিটায় বসবাস করেন। গত কয়েকদিন আগে মাহমুদ ও ইমামের নেতৃত্বে বেশ কিছু ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ তিন লক্ষ টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকার এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র লুটে নেয়। একইসঙ্গে ঘরের জানালা-দরজাসহ বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করা হয়।
নাজনীন জানান, তার স্বামী মাহফুজুর রহমান এক মায়ের পেটের চার ভাইয়ের একজন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। কিছুদিন আগে বড় ভাই ইমাম মাহমুদুর রহমান তার ভাগের সম্পত্তি বিক্রি করে শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। এরপর থেকেই নাজনীন ও তার স্বামীকে নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এছাড়াও, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সামাজিক ও পারিবারিক সম্মানহানির চেষ্টা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন নাজনীন। বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর সংবাদে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানান।
বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় ইউএনও কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয় এবং ইউএনও কর্তৃক স্থানীয় মুরব্বিদের মাধ্যমে সালিশি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি সমঝোতা গঠিত হয়। সালিশে জমির সীমানা নির্ধারণ ও চলাচলের রাস্তা নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষকে সমান সুযোগ দিয়ে সমাধানের পথ দেখানো হয়। নাজনীন সালিশি রায়ের প্রতি সম্মান জানালেও অভিযোগ করেন যে, মাহমুদ ও তার স্ত্রী জলি বেগম সেই রায় মানেননি এবং পুনরায় উত্তেজনার সৃষ্টি করেন।
তিনি আরও জানান, তাদের পৈতৃক ভিটায় নতুন করে ইটের ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং যারা এই ঘটনার পেছনে জড়িত তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি বা বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি।