ডাকসু নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্যানেলে লড়ার ঘোষণা দিলেন উমামা ফাতেমা

print news
img

অর্ধযুগের বেশি সময় পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন আলাদা প্যানেল দেবে। এদিকে স্বতন্ত্র প্যানেলে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র ও ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সদস্যসচিব উমামা ফাতেমা। যদিও গুঞ্জন উঠেছিল তিনি ছাত্রদলের সঙ্গে জোট করতে পারেন, তবে তিনি তা নাকচ করে দিয়েছেন।

‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য আমাদের প্যানেল’
উমামা ফাতেমা বলেন, “যেসব শিক্ষার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান বা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে চান, কিন্তু কোনো সংগঠনের ব্যানারে যেতে চান না— তাদের জন্য আমরা ফরম ছাড়ছি। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক পরিচয় থেকে মুক্ত করে একটি অ্যাকাডেমিকালি সাউন্ড এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন ক্যাম্পাসে রূপান্তর করতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “যদি হলগুলো দখলমুক্ত করা যায় এবং অ্যাকাডেমিক পরিবেশে বড় পরিবর্তন আনা যায়, তাহলে প্রকৃত সংস্কার সম্ভব।”

ঢাবির প্রধান সমস্যা প্রশাসনের রাজনীতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা প্রশাসনের রাজনীতি বলে মন্তব্য করেন উমামা। তিনি বলেন, “শিক্ষকরা চ্যালেঞ্জে মুখে পড়েন না, কারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একতা নেই। এতে করে ক্যাম্পাসের অ্যাকাডেমিক পরিবেশ স্থবির হয়ে পড়েছে। এখানে শিক্ষাকে দ্বিতীয় স্থানে সরিয়ে রাজনীতি প্রথম অগ্রাধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কালচার পরিবর্তন করাই আমাদের লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল ক্যাম্পাসকে অ্যাকাডেমিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনা। কিন্তু আমরা দেখছি, সেখানে টক্সিক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।”

ছাত্রদল এখনো অবস্থান জানায়নি
যদিও উমামা ডাকসুতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের ঘোষণা দিয়েছেন, তবে এখনো কোনো পরিচিত মুখের নাম প্রকাশ করেননি। তিনি জানান, অনলাইনে দেওয়া ফরমে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী সাড়া দিয়েছেন।

অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, “রবিবার পর্যন্ত ছাত্র সমাবেশ নিয়ে আমরা ব্যস্ত ছিলাম। দলীয় ফোরামে এখনো ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমাদের বক্তব্য পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *