

চলতি বছরের ডিসেম্বরেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ব্রিটিশ সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ড. ইউনূস জানিয়েছেন—নির্বাচন ডিসেম্বরের আগে অনুষ্ঠিত হবে না, তবে জুনের পরে হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচনে তিনি নিজে অংশ নেবেন কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলেও জানান।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংক খাতকে স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হলেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখনও দুর্বল, এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিও রয়ে গেছে ভঙ্গুর। বিপ্লবের নয় মাস পেরিয়ে গেলেও কাঙ্ক্ষিত বড় পরিবর্তন এখনো কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করা হবে, যা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করবে এবং ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনে সহায়ক হবে।
তবে ঐকমত্যে পৌঁছানো যে সহজ কাজ নয়, সেটিও উল্লেখ করেন তিনি। কমিশন গঠনের বিষয়েও রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। কেউ কেউ মনে করেন, অর্থনীতির মূলভিত্তি তৈরি পোশাকখাত নিয়ে একটি কমিশন থাকা উচিত ছিল; আবার কেউবা শিক্ষাখাতকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। সবচেয়ে বড় বিতর্ক দেখা দিয়েছে নারী সংস্কার কমিশনকে ঘিরে, যা পরে গঠিত হয় এবং ইসলামি উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তনের সুপারিশ করায় ইসলামপন্থি দলগুলো বিক্ষোভে নামে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১২ মে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। এর ফলে দলটি আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।