রাজধানীর যমুনা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বহুল প্রত্যাশিত বৈঠক থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি। নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সীমা ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ পেতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। তবুও দলটি ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনড় অবস্থানে রয়েছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কৌশলে পরবর্তী কর্মপন্থা জানাতে এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, “আগামীকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক আছে। এরপর দলীয় ফোরাম এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব।”
তবে দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানাচ্ছে, সরকারকে চাপে রাখতে নতুন করে দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে বিএনপি। ইউনিয়ন, উপজেলা থেকে শুরু করে মহানগর ও বিভাগীয় পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ, গণমিছিল, অবস্থান কর্মসূচি—এমন নানা নিয়মতান্ত্রিক পদক্ষেপের পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা চাই না এই সরকার ব্যর্থ হোক। বরং তাদের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া।”
দলের শীর্ষ নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে সামান্য পিছিয়ে জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে গেলেও বিএনপি তাতে আপত্তি করবে না। তবে এটি কোনোভাবেই মার্চ পেরিয়ে যেতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা আরও জানান, নির্বাচনকে অর্থবহ করতে যেসব সংস্কার নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য হবে, সেগুলোর একটি চার্টার করতেও রাজি দলটি। সেই ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন করা হলে পরবর্তীতে সরকারে আসা রাজনৈতিক দলগুলো বাকি সংস্কার বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করছে বিএনপি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের সময়সীমার কথা বললেও তিনি সরাসরি ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন হবে না—এমন কিছু বলেননি। ফলে বিএনপি এখনো ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা ধরে রেখেই তাদের রাজনৈতিক কৌশল সাজাচ্ছে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron