তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে জনরোষ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর মুক্তির দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন এবার ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে। রাজপথ থেকেই উঠেছে সরকার পতনের আহ্বান।
টানা আট দিন ধরে চলা এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। তারা স্পষ্টভাবে এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আন্দোলন ঠেকাতে এরদোয়ান প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে, যার ফলে এখন পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, "অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের কোথাও জায়গা হবে না।" তবে পুলিশের বলপ্রয়োগ ও গণগ্রেফতারের ঘটনায় তুরস্ক সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।
এদিকে, তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি ইস্তাম্বুলের সিটি হলের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
গত সপ্তাহে বুধবার ইমামোগলুকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হলে তার সমর্থকেরা রাজপথে নেমে আসেন। ইমামোগলু অভিযোগ করেছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। তবে এরদোয়ান এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সরকারবিরোধী স্লোগান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এই বিক্ষোভ সামাল দিতে এরদোয়ানকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron