

নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি প্রস্তুতি জোরদার করেছে বিএনপি। দলের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ক্লিন ইমেজ ও জনপ্রিয়তা সম্পন্ন শতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীকে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও কলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজ নিজ এলাকায় সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিন ধাপে যাচাই-বাছাই করে ৩০০ আসনের জন্যই প্রস্তুত প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন যাঁরা অতীতে দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে নির্বাচন করতে পারেননি কিংবা ২০১৮ সালে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। গুরুত্ব পাচ্ছেন তরুণ, শিক্ষিত, ত্যাগী ও জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত প্রার্থীরা। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে নতুন ভোটারদের পছন্দের দিকেও।
দলীয় সূত্র জানায়, গোপনে একাধিক জরিপ সংস্থার মাধ্যমে সরেজমিনে জনপ্রিয়তা যাচাই করা হয়েছে। মনোনয়ন চূড়ান্তে তিনটি প্রধান যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে— গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা, ব্যক্তিগত সততা ও এলাকার জনপ্রিয়তা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি সবসময় নির্বাচনমুখী। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি।” অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, এবার একক প্রার্থীই মনোনীত করা হবে— ২০১৮ সালের মতো একাধিক চিঠি দেওয়া হবে না।
সূত্র মতে, এবারের প্রার্থী তালিকায় নবীন ও প্রবীণের সমন্বয় ঘটানো হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবার থেকেও একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। পাশাপাশি সমমনা দলগুলোর জন্য কিছু আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— নির্বাচনি কারচুপি, কেন্দ্র দখল বা ফলাফল ছিনতাই ঠেকাতে দলীয়ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। রাজধানীসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসনে জোটগত সমঝোতা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।
প্রসঙ্গত, বিএনপির সব নির্বাচনি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে তফসিল ঘোষণার পর। তখনই মনোনয়নপত্র বিতরণ, জমাদান ও সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া চালু করবে দলীয় পার্লামেন্টারি বোর্ড।