আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
থাইল্যান্ডে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা আজ (বৃহস্পতিবার) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেছেন। ব্যতিক্রমীভাবে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, যিনি এখন সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।
সপ্তাহের শুরুতে দেশটির সাংবিধানিক আদালত এক নৈতিকতা লঙ্ঘনের মামলায় পেতংতার্নকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে। অভিযোগ, কম্বোডিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুন সেনের সঙ্গে একটি গোপন ফোনালাপে তিনি থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করেছেন। ফোনালাপটি ফাঁস হওয়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। অভিযোগ উঠেছে, হুন সেনকে খুশি করতে গিয়ে তিনি দেশের স্বার্থ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন।
আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে তদন্তযোগ্য এবং পেতংতার্নকে ১৫ দিনের মধ্যে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে। চূড়ান্ত রায়ের তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এই ঘটনার মধ্যেই, থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ণ নতুন মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেন। আজ রাজধানী ব্যাংককে অবস্থিত সরকারি ভবনে শপথ অনুষ্ঠানে হাসিমুখে উপস্থিত হন পেতংতার্ন, তবে তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
প্রাথমিকভাবে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত। তবে পরবর্তীতে একটি বিশেষ মন্ত্রিসভা বৈঠকে ফুমথাম বেচায়াচাই-কে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করবেন। এর আগে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন।
নতুন মন্ত্রিসভা দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে প্রশাসনিক কার্যক্রমে আস্থার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে পেতংতার্নের বিরুদ্ধে মামলার রায় ও তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকা ঘিরে জটিলতা থেকেই যাচ্ছে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron