বিএনপি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এবার দেশীয় সংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর দলটি ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে বড় পরিসরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দিনটি উদযাপন করতে দলটি বৈশাখী যাত্রা/র‍্যালি থেকে শুরু করে মেলাসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। সারা দেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলায় এই কর্মসূচি পালিত হবে।

এ বিষয়ে সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল জানান, পহেলা বৈশাখে সারা দেশে দলীয়ভাবে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জেলা, উপজেলায় বৈশাখী যাত্রা/র‍্যালি, পান্তা আয়োজন, লোকজ গানের অনুষ্ঠান, বৈশাখী গ্রামীণ মেলা, হাডুডু খেলাসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন। তিনি বলেন, যদি সম্ভব হয় ইউনিয়ন পর্যায়েও এই যাত্রা/র‍্যালি আয়োজন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এসএসসি পরীক্ষা থাকায় পহেলা বৈশাখের দিন সন্ধ্যার আগেই সব আয়োজন শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে পরদিন ১৫ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ও ১৬ এপ্রিল নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।

এদিনের বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন এবং সভাপতিত্ব করেন। এটি ছিল ঈদুল ফিতরের পর দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের প্রথম বৈঠক। বৈঠকে দলের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান (অনলাইনে), নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (অনলাইনে), আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (অনলাইনে), মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

এটাই ছিল দলের বৃহত্তর কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রথম বৈঠক, যেখানে পহেলা বৈশাখের আয়োজন ছাড়াও পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।