

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করে দুই মেয়াদ নির্ধারণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, “দুই মেয়াদের দাবি একটি জনপ্রিয় জনদাবি। এটা আমার নিজেরও দাবি। প্রধানমন্ত্রী শুধু বললেই হবে না, বিষয়টি যৌক্তিকভাবে তুলে ধরতে হবে।”
রবিবার দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। “রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কার” বিষয়ক ওই সভার আয়োজন করে নাগরিক উদ্যোগ, নাগরিক কোয়ালিশন ও সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোট।
আসিফ নজরুল বলেন, “বিশ্বের অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশেই প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমাবদ্ধ। ভারত বা যুক্তরাজ্যের মতো অনেক দেশেই সরাসরি মেয়াদ সীমা না থাকলেও ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকার প্রবণতা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে।”
নতুন সংবিধান প্রণয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাতীয় সংসদের মাধ্যমেই সংবিধান প্রণীত হবে। এটি হতে অনেক সময় লাগতে পারে, ৮–৯ বছর পর্যন্ত সময় লাগা অস্বাভাবিক নয়। এই সময়ের মধ্যে ৭২-এর সংবিধানকেই কার্যকর রেখে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে।”
তিনি জানান, “গণপরিষদের মতো একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে তারা ধাপে ধাপে নতুন সংবিধান তৈরির কাজ করবে। এ সময় সংসদ চলমান থাকবে এবং ফান্ডামেন্টাল কাঠামো—যেমন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, উচ্চ আদালতের স্বাধীনতা ইত্যাদি—নিয়ে সংস্কার করা হবে।”
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই সনদের ফান্ডামেন্টাল বিষয়গুলোকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার মতো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা ধরে নিচ্ছি—এর ওপর সমাজের নানা স্তরে একটি ঐকমত্য গড়ে উঠছে।”