

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন। নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ আট আসামি খালাস পেয়েছেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন। মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন, যার মধ্যে ছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় দুদক মামলাটি দায়ের করে। পরের বছর ৫ মে, দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামিদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
মামলার ১১ আসামির মধ্যে তিনজন পলাতক ছিলেন। এদিকে, মামলার অপর তিন আসামি – সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান – মৃত্যুবরণ করায় তাদের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়।