

আওয়ামী লীগ নেতা নির্মলেন্দু দাস রানার অপহরণসংক্রান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ নামে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৮ মে থেকে ফেসবুক ও এক্স প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্টে দাবি করা হয় যে সিলেটের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাস রানাকে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা অপহরণ করেছে। এমনকি কিছু পোস্টে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নীরবতার অভিযোগ এনে জামায়াতপ্রীতির ইঙ্গিতও দেওয়া হয়।
তবে প্রেস উইংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব দাবি মিথ্যা ও গুজব। তদন্তে জানা গেছে, কেউ নির্মলেন্দু দাস রানাকে অপহরণ করেনি। বরং সিলেট শহরের একটি বাজারে তাকে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় লোকজন চিহ্নিত করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় তাকে লাঞ্ছনার ঘটনাও ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্মলেন্দু দাস রানা একাধিক ফৌজদারি মামলার পলাতক আসামি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান সন্দেহভাজন ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
রানার অতীত কার্যকলাপ প্রসঙ্গে বলা হয়, তিনি তার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ২০২১ সালে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইউনিয়ন কর তহবিল থেকে প্রায় ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে।
তথ্যভিত্তিক এই বিবৃতিতে প্রেস উইং বলেছে, অপহরণের গল্প গড়ে তোলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং তা জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা মাত্র।
সূত্র: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং, ২০ মে ২০২৫