নিহার সুলতানা তিথি কে তৃণমূল নেত্রীরা আগামী দিনে বগুড়া জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী হিসেবে দেখতে চান

print news

এস এম সালমান হৃদয় বগুড়া

Img

বগুড়া জেলা মহিলা দলের রাজনীতিতে এক পরিচিত ও দৃঢ়চেতা নাম নিহার সুলতানা তিথি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাজপথে থেকে বিএনপির বিভিন্ন দুঃসময়ে সাহসী নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। নারী নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে তিনি ইতোমধ্যেই দলের ভেতরে ও বাইরে সুনাম অর্জন করেছেন। তৃণমূল নেত্রীরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, আগামী দিনে বগুড়া জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী হিসেবে তিনিই হতে পারেন যোগ্যতম ব্যক্তি।

নিহার সুলতানা তিথি রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন ছাত্রজীবন থেকেই। তিনি বগুড়া সরকারি মজিবুর রহমান ভান্ডারী মহিলা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞতা তাকে তৈরি করেছে একজন কর্মীবান্ধব ও ত্যাগী নেত্রী হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, বগুড়া জেলা মহিলা দলের দুইবারের সফল সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি যে সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন তা তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

রাজনীতিতে তার পদচারণা সবসময় কর্মীদের স্বার্থে এবং দলের শক্তি বৃদ্ধির জন্য। বিশেষ করে নারী নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসতে এবং নারী নেত্রীদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে তার অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। জেলা মহিলা দলকে সক্রিয় ও সুসংগঠিত করতে তার পরিশ্রম, ত্যাগ ও কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তৃণমূল নেত্রীদের মতে, তিনি সবসময় কর্মীদের পাশে থেকেছেন এবং দলের জন্য যেকোনো প্রয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের আদর্শ, আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রদত্ত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের সংগ্রামে নিহার সুলতানা তিথি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে নারী নেতৃত্বকে শক্তিশালী ভুমিকা রাখতে হবে। তার এই দৃষ্টিভঙ্গি ও দায়বদ্ধতা জেলা মহিলা দলের ভবিষ্যৎকে আরও দৃঢ় ও সুসংগঠিত করতে সক্ষম।

তৃণমূল নেত্রীদের ভাষায়, নিহার সুলতানা তিথির নেতৃত্বেই জেলা মহিলা দল আগামী দিনে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। তারা বলেন, একজন নেতা তখনই প্রকৃত অর্থে গ্রহণযোগ্য হন যখন তিনি কর্মীদের আপন করে নিতে পারেন, তাদের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়াতে পারেন এবং সংগঠনকে নিজের পরিবারের মতো মনে করতে পারেন। এই গুণাবলী নিহার সুলতানা তিথির মাঝে বিদ্যমান।

রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, সাংগঠনিক দক্ষতা, কর্মীবান্ধব মনোভাব এবং নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় তৃণমূল নেত্রীদের আশাবাদী করে তুলেছে। তারা একবাক্যে স্বীকার করছেন যে, জেলা মহিলা দলকে সুসংগঠিত করতে, রাজপথে সংগ্রামী অবস্থান নিতে এবং নারীদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে আগামী দিনে নিহার সুলতানা তিথির বিকল্প নেই।

নিহার সুলতানা তিথি সবসময়ই বলেছেন, রাজনীতি তার কাছে ব্যক্তিগত স্বার্থের বিষয় নয়, বরং এটি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। তিনি মনে করেন, নারী নেতৃত্বকে শক্তিশালী করার মাধ্যমেই বিএনপির আন্দোলন আরও বেগবান হবে। তার নেতৃত্বের ধরণে আত্মত্যাগ, আদর্শের প্রতি অবিচলতা এবং কর্মীদের প্রতি ভালোবাসা প্রতিনিয়ত প্রতিফলিত হয়।

তৃণমূল নেত্রীদের এই প্রত্যাশা স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, বগুড়া জেলা মহিলা দলের পরবর্তী সভানেত্রী হিসেবে নিহার সুলতানা তিথিই তাদের আস্থার প্রতীক। তার নেতৃত্বে জেলা মহিলা দল নতুন উদ্যম, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং নতুন আশা নিয়ে আগামী দিনের সংগ্রামে সামনের সারিতে থাকবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।

সর্বোপরি, তৃণমূল নারী নেত্রীরা মনে করেন—নিহার সুলতানা তিথির নেতৃত্বই বগুড়া জেলা মহিলা দলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার একমাত্র নিশ্চয়তা। তাই তারা আগামী দিনে তাকে জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী হিসেবে দেখতে চান এবং তার হাত ধরে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *