নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবদল কর্মী ইয়াছিন আরাফাত শাকিল (২৮) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেন শুভ (২৫) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাটি ঘটে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে গঙ্গাবর বাজারের ইসলামীয়া মার্কেটে।

নিহত শাকিল ছয়ানী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সোলাইমান খোকনের ছেলে এবং পেশায় থাইমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি স্থানীয় যুবদলের সক্রিয় কর্মী বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, শাকিলসহ কয়েকজন একটি দোকানে চা খাওয়ার সময় পাঁচজন অস্ত্রধারী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এসে লাবিব নামে এক তরুণকে জোরপূর্বক তুলে নিতে চেষ্টা করে। শাকিলসহ স্থানীয়রা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়ে শাকিলকে হত্যা করে এবং তার ছোট ভাই শুভকে কুপিয়ে জখম করে। এলাকাবাসী পাল্টা প্রতিরোধে তিনজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

শাকিলকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নোয়াখালী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান বলেন,

"শাকিল আমাদের দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীর শোকাহত। আমরা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।"

বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবীবুর রহমান জানান,

“ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রধারী তিনজনকে স্থানীয়রা আটক করে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

এই হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না, তা নিয়েও এলাকায় আলোচনা চলছে।