

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা এবং অমীমাংসিত বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে, এবং পাকিস্তান এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।
এদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন, এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ।
বৈঠক সম্পর্কে জানাতে গিয়ে এম জসীম উদ্দিন বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশের অমীমাংসিত বিষয় তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল:
আটকেপড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন ,অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা প্রদান , ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিদেশ থেকে আসা সহায়তা ফেরত
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান।
পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন জানান, পাকিস্তান এ বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং তারা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা অব্যাহত রাখবে।
এটি দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে আলোচনা শুরু হল। সর্বশেষ এই ধরনের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে ইসলামাবাদে।
এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এবং প্রক্রিয়াগত আলোচনার পথ খুলে দিতে পারে।