

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার পাঁচভাগ ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল যুবলীগের পরিচয়ধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী জহিরুল ডাকাত। সম্প্রতি তাকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার বিরুদ্ধে রয়েছে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, মারধর ও জমি দখলের একাধিক অভিযোগ।
২০২২ সালে বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর পরিচালিত এক তাণ্ডবের ঘটনায় জহিরুলের নাম উঠে আসে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে। তখন পাগলা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক নবী হোসেনকে না পেয়ে তার বাড়িঘরে হামলা চালায় জহিরুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। নবী হোসেনের ৮২ বছর বয়সী বৃদ্ধ পিতাকে পৈশাচিক কায়দায় মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
একইভাবে স্বেচ্ছাসেবক দলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও নির্যাতিত নেতা আনিসুজ্জামান আসলামের বড় ভাই এবং ভাবিকে মারধর করা হয়। তাদের বাড়িও ভাঙচুর করে জহিরুলের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। ছাত্রদল নেতা বিজয়ের বাবাকে পালের বাজারে হামলা করে তলপেটে আঘাত করা হয় এবং তার দোকান ভাঙচুর করা হয়।
অপরদিকে, যুবদলের নেতা রাসেল সরকারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। তার বৃদ্ধা মা এসব মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মৃত্যুবরণ করেন বলে পরিবার দাবি করেছে।
এই সকল নৃশংস ঘটনার পর অবশেষে পাগলা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইবনে আজাহার মাহমুদ ও পাঁচভাগ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুজন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় জহিরুল ডাকাতকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এলাকাবাসীর দাবি, শুধু গ্রেফতার নয়, জহিরুল ও তার পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে, যেন আর কোনো সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে নির্যাতনের শিকার না হয়।