

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই গণনার কাজ।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তারের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে ১০টি দানবাক্স ও ১টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খোলা হয় চার মাস ১১ দিন পর।
গণনার কাজ চলছে জেলা প্রশাসনের কর্মীদের পাশাপাশি মাদ্রাসার ২৮৫ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জনের সমন্বয়ে। গণনা শেষে মোট কত টাকা জমা পড়েছে, তা ঘোষণা করা হবে।
এদিকে দানবাক্স খোলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মসজিদ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকেও এসে চোখের সামনে দেখার জন্য ভিড় করেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছিল। সেবার পাওয়া গিয়েছিল ২৯ বস্তা টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা এবং রুপার অলংকার। সব মিলিয়ে তখন দানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ টাকারও বেশি।
মসজিদটির বিশেষত্ব হলো—এখানে শুধু নগদ অর্থই নয়, মানুষ নানা রকম জিনিসপত্রও দান করে থাকেন। হাঁস-মুরগি থেকে শুরু করে গরু-ছাগলও দেখা যায় দানের তালিকায়।
জেলা শহরের হারুয়া এলাকায়, নরসুন্দা নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই মসজিদটির ইতিহাস ও গ্রহণযোগ্যতা এতটাই প্রভাবশালী যে, এখানে দেওয়া দানকে মানুষ বিশ্বাস করেন আত্মিক শান্তি ও মানতের সফলতার চাবিকাঠি হিসেবে।