রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে জমি বরাদ্দ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল এলাকায় ৬০ কাঠা জমি নিজেদের অনুকূলে বরাদ্দ নেন। ছয়টি ১০ কাঠার প্লট এভাবে বিতরণের পেছনে কোনো আইনগত ভিত্তি ছিল না, বরং এটি দুর্নীতিমূলক আচরণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা, রাজউকের সাবেক কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ মোট ১৬ জন। তাদের মধ্যে আছেন মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, পুরবী গোলদার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, মো. আনিছুর রহমান মিঞা, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মো. নাসির উদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, মো. নুরুল ইসলাম, শেখ শাহিনুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও শরীফ আহমেদ।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘ অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব জমির বরাদ্দ আদায় করা হয়। কমিশনের দাবি, এটি একটি সুপরিকল্পিত দুর্নীতির চিত্র, যেখানে সরকারি সম্পদ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে মামলাটি করা হয়েছে।
এ মামলাটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে গঠিত দুর্নীতি তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া প্রথম মামলা হিসেবে নজর কাড়ছে। কমিশন জানিয়েছে, প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron