ঈদ উপলক্ষে প্রকাশিত একটি কার্টুনে ‘কুকুরের ছবি’ ব্যবহারের ঘটনায় প্রথম আলো পত্রিকাকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “প্রথম আলো ঈদের মতো পবিত্র ইবাদাতকেও কটাক্ষ করতে দ্বিধা করে নাই।”
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াত আমির আরও বলেন, “ঈদ শুভেচ্ছার কার্টুনে কুকুরের ছবি- এটি একটি অদ্ভুত ও আপত্তিকর আচরণ। ইসলাম ধর্মে ঈদের তাৎপর্য অত্যন্ত পবিত্র এবং এ ধরণের উপস্থাপনা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “এই পত্রিকা অতীতেও মহানবী (সা.) কে নিয়ে অবমাননাকর আচরণের অভিযোগে জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়েছিল। এবারও এ ঘটনায় সম্পাদক মতিউর রহমানকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং কার্টুনটি প্রত্যাহার করতে হবে।”
গত ৩০ মার্চ প্রকাশিত প্রথম আলোর একটি ঈদ কার্টুনে কুকুরের উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেম সমাজের অনেকেই একে ‘ধর্ম অবমাননা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে পত্রিকাটি নিষিদ্ধের দাবিও তুলেছেন।
অনেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ করে বলছেন, “এটি শুধু ঈদ নয়, ইসলামের পবিত্রতাকে কটাক্ষ করার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা।” এ বিষয়ে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোও নানা কর্মসূচি ও বিক্ষোভ ঘোষণা করছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। অনেকে বলছেন, এটি শুধুমাত্র ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে শেষ করা যাবে না, বরং তদন্ত ও উপযুক্ত আইনগত পদক্ষেপের দাবি উঠছে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, বাকস্বাধীনতা এবং সাংবাদিকতার দায়িত্বশীলতা—এই তিনটি বিষয়ই আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাংবাদিকতা অবশ্যই মত প্রকাশের স্বাধীনতা বহন করে, তবে সেই স্বাধীনতা ধর্মীয় সংবেদনশীলতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে চর্চা করাটাও একান্ত কর্তব্য।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron