

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শূন্যপদের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। জুন মাস পর্যন্ত যেসব পদ শূন্য হবে, সেগুলোর তথ্য চেয়ে জেলা পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চলতি বছরেই প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষক নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সম্প্রতি ডিপিই-এর পলিসি ও অপারেশন বিভাগের সহকারী পরিচালক (নিয়োগ) কামরুন নাহার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২০ মে’র মধ্যে নির্ধারিত ছকে ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং কার্যকরভাবে তা সম্পন্ন করতে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের শূন্যপদের হালনাগাদ তথ্য জরুরি।
ডিপিই সূত্রে জানা গেছে:
বর্তমানে ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য, যা সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
৮ হাজার ৪৩টি সহকারী শিক্ষকের পদ খালি, যা জুন নাগাদ ১০–১২ হাজারে পৌঁছাতে পারে।
পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে আরও ৫,১৬৬ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে এবং ৭ শতাংশ কোটাভিত্তিতে হবে।
কোটাভুক্তদের মধ্যে রয়েছে:
বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫%
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১%
প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের জন্য ১%
চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য এটি বড় সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাব্য সময়সীমা সম্পর্কে জানাতে অধিদপ্তর শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে।