

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আগামী ১২ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (আজ) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ছিল। তবে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন করে ১২ মে দিন নির্ধারণ করেন। বিষয়টি দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৩ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তিনটি আলাদা মামলায় শেখ হাসিনা ও টিউলিপ এবং একটি মামলায় শেখ রেহানা ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেন শেখ রেহানা। দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন ১৩ জানুয়ারি এ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ দুদক সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ রেহানা, শেখ হাসিনা, টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।
এছাড়া আজমিনা সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধেও পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়, যেখানে টিউলিপ ও শেখ হাসিনা আসামি হিসেবে রয়েছেন। উভয় মামলার তদন্ত শেষে ১৮ জন করে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, শেখ রেহানা, আজমিনা সিদ্দিক এবং রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক রাজউকের নির্ধারিত ফরমে আবেদন না করেই প্লট বরাদ্দ নেন। টিউলিপ সিদ্দিক বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে খালা শেখ হাসিনার ওপর প্রভাব বিস্তার করেন বলেও অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।
অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা এবং সাবেক মন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
সূত্র: বাসস