
বাংলাদেশে বন পুনরুদ্ধার ও প্রকৃতি-ভিত্তিক পর্যটন উন্নয়নে তুরস্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) পানিভবনে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন। বৈঠকে পরিবেশ সংরক্ষণ, ইকো-ট্যুরিজম ও বন ব্যবস্থাপনায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব প্রবণ এলাকায় বনভূমি সংকোচন ও খাদ্য ঘাটতির ফলে বন্য প্রাণীর জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। বন পুনরুদ্ধার এখন জরুরি।”
তিনি জানান, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবেশবান্ধব ইকো-ট্যুরিজম সাইট গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে প্রকৃতির উপর প্রভাব কমিয়ে পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এজন্য উপযুক্ত গাছের প্রজাতি রোপণ এবং কারিগরি সহায়তার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বাংলাদেশের পরিবেশ সচেতনতাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, তুরস্কের উন্নয়ন সংস্থা টিকা (TİKA) ঢাকায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক এই আলোচনায় টেকসই পর্যটন খাতে তুরস্কের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে প্রয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সম্ভাব্য প্রকল্প বাস্তবায়নে টিকার সঙ্গে উপদেষ্টার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনেও রাষ্ট্রদূত সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে তুরস্ক দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন মারভে ওজচেলিক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।