বাংলাদেশে পাট, কৃষি, সামুদ্রিক মৎস্য ও গবেষণা খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। শনিবার ঢাকায় চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্মেলনে এমন আগ্রহের কথা জানান সফররত চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েন্তাও।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকালে চীনা প্রতিনিধি দলের নেতা ওয়েন্তাও বলেন, বাংলাদেশে পাট একটি সম্ভাবনাময় পণ্য এবং গবেষণার মাধ্যমে এই খাত বহুগুণে বিকশিত হতে পারে। তিনি জানান, চীন বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ১০ কোটি ডলারের পাট আমদানি করে, যা বাংলাদেশের মোট পাট রপ্তানির ১০ শতাংশের কাছাকাছি।
ওয়েন্তাও বলেন, “বাংলাদেশি পাট নিয়ে গবেষণায় আমরা আগ্রহী। আজকের সম্মেলনে ইউনূস স্যারের বক্তব্যের পরই আমাদের পাট ব্যবসায়ীরা এই খাতে গবেষণা শুরুর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যদি বাংলাদেশও এই গবেষণায় অংশ নেয়, তাহলে এটি আমাদের জন্য একটি চমৎকার সম্ভাবনাময় খাত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে পণ্যভিত্তিক ভোক্তা চাহিদা বাড়ছে। রাত ১০টার পরও শপিং মলগুলোতে মানুষের উপস্থিতি দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম বড় ভোক্তা বাজারে পরিণত হতে পারে।”
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে কৃষি ও মৎস্যখাতে এখনো অনেক সম্ভাবনা অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। চীনের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামকে একটি করে উৎপাদনশীল ইউনিটে পরিণত করা সম্ভব।
এ সময় চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়েন্তাও জানান, চীন গভীর সমুদ্রে মৎস্য চাষে বৈশ্বিকভাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ চাইলে চীন এই খাতে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনার আহ্বান জানান।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron