মহাকাশভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করতে যাচ্ছে। আগামী বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে এই ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করা হবে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সবাই স্টারলিংকের দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। একইসঙ্গে, এই ইন্টারনেট ব্যবহার করেই সম্মেলনের সরাসরি সম্প্রচার পরিচালিত হবে।
স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করে থাকে। যদিও এর খরচ সাধারণ ইন্টারনেট সেবার তুলনায় কিছুটা বেশি, তবে দুর্গম বা প্রান্তিক এলাকায় সহজে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্টারলিংক একটি কার্যকর সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় চলতি বছর ভুটানে প্রথম স্টারলিংকের সেবা চালু হয়। এরপর ভারত ও বাংলাদেশে সেবার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ভারতে ইতোমধ্যে দুইটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্টারলিংক চুক্তি করেছে। বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালু হলে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের বৈষম্য হ্রাস পাবে। গ্রামাঞ্চলেও তরুণরা সহজেই উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংসহ অনলাইনভিত্তিক কাজ করতে পারবেন।
দুর্যোগ পরবর্তী সময়েও দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনে স্টারলিংক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।
স্টারলিংক সম্প্রতি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) থেকে বিনিয়োগের নিবন্ধন পেয়েছে। গত ২৯ মার্চ তাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা দিতে হলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। বিটিআরসি এরইমধ্যে স্টারলিংককে লাইসেন্সের অনুমোদন দিয়েছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ হারুন বলেন, “আমরা তাদের ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সে অনুযায়ী ২৯ মার্চ স্টারলিংককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু হলে তা দেশের ডিজিটাল কানেকটিভিটির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron