বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে বলে মনে করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার মতে, অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশি চীনা বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসবেন এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে মিলে একটি বৃহৎ বাজার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবেন।
বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে বেইজিংয়ে অবস্থান করছেন ড. ইউনূস। সেখানে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা চীনকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখি। গত কয়েক বছরে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে, বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ফলে বাংলাদেশ অনেক সুবিধা পেয়েছে। চীনের উন্নয়ন দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই।”
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ড. ইউনূস চীনের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “অনেক দেশ উন্নয়ন বলতে শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি বোঝে, কিন্তু চীন নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। এই কৌশলের কারণেই চীন দ্রুত এবং সফলভাবে দারিদ্র্য কমাতে সক্ষম হয়েছে।”
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। চীন টানা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার চীনা প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পরিচালনা করছে, যেখানে সাড়ে পাঁচ লাখ বাংলাদেশি কর্মসংস্থান পেয়েছেন।
ড. ইউনূস জানান, বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে এর ইতিবাচক ফলাফলও দৃশ্যমান। তার মতে, এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে, যা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron