

ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি. এম. শাহাবুদ্দিন আজমকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার বড় ছেলে হাইজু মুনতাকা আজম।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি ভারতে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন। কিন্তু বেনাপোল ইমিগ্রেশনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
গ্রেপ্তার নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আজম পুত্র বলেন, “অনেকেই বলছেন, তিনি পালানোর চেষ্টা করছিলেন। যদি সে পালাতে চাইতেন, তাহলে কি বৈধ পথে পাসপোর্ট ব্যবহার করে দিনের বেলায় সীমান্ত পার হতেন? তার পালানোর কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি বরং আইনি পথেই চলছিলেন।”
হাইজু মুনতাকা আরও বলেন, “২০০৭ সালেও তিনি একবার হত্যা মামলায় আসামি হয়েছিলেন। সেসময়ও তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, জেল খেটেছেন। কখনোই পালানোর চেষ্টা করেননি। তিনি গোপালগঞ্জের সন্তান, এখানেই থাকেন। তার চিকিৎসার সুযোগ যেন অস্বীকার করা না হয়, তা আমরা দাবি করছি। প্রয়োজনে গোপালগঞ্জবাসী এর জবাব দেবে।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ নেতা জি. এম. শাহাবুদ্দিন আজমকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও গোপালগঞ্জে দায়ের করা একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।