বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি কখনোই সংস্কারের বিরুদ্ধে নয়, বরং বিএনপি নিজেই একটি সংস্কারমুখী রাজনৈতিক দল। তিনি জানান, যে কোনো সংস্কার জনগণের সম্মতিতে হতে হবে, কারণ জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার কার্যকর হয় না। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা সবাই দেশ ও জাতির জন্য ভালো কিছু করতে চাই। কিন্তু সেই ভালো করার প্রয়াসে যেন এতটা সময় না লেগে যায়, যাতে করে মানুষের পরিবর্তনের যে প্রত্যাশা, তা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিএনপিই করেছে। বহু দলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতির চালু, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ, গ্রাম সরকার চালু করা, মুক্তবাজার অর্থনীতির সূচনা, দুর্নীতি দমন কমিশনের গঠন, ভ্যাট প্রবর্তন, পোশাক শিল্পের ভিত্তি গঠন, কৃষি ও প্রবাসী কর্মসংস্থানের উন্নয়ন, পল্লী বিদ্যুতায়ন, কুটির শিল্প ও সমবায় খাত—সবই বিএনপির নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যখন কেউ সংস্কারের ‘স’ উচ্চারণও করেনি, তখন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন, আর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দিয়েছেন ভিশন ২০৩০। বিএনপি সবসময় জাতীয় স্বার্থে সংস্কারের পক্ষে, আর এজন্যই সব রাজনৈতিক দল মিলে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে। তবে যদি কেউ আরও ভালো কোনো প্রস্তাব দেয়, বিএনপি সেটিও বিবেচনায় নিতে প্রস্তুত।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ, নজরুল ইসলাম খান, ইসমাইল জবিহউল্লাহ ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ, বদিউল আলম মজুমদার, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান ও মনির হায়দার।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron