বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র পেসমেকার তৈরি, অস্ত্রোপচার ছাড়াই প্রতিস্থাপন সম্ভব

print news
img

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র পেসমেকার তৈরি করেছেন। পেসমেকারটির দৈর্ঘ্য ৩.৫ মিলিমিটার, প্রস্থ ১.৮ মিলিমিটার এবং পুরুত্ব ১ মিলিমিটার। এটি আকারে চালের কনার থেকেও ছোটো, তবে কার্যকারিতায় এটি বর্তমান বাজারে প্রচলিত যে কোনো পেসমেকারকে টেক্কা দিতে সক্ষম।

পেসমেকারটি হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক স্পন্দন বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক স্পন্দন প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার হওয়া উচিত, অন্যথায় গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। যারা স্পন্দনজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য পেসমেকার একটি প্রয়োজনীয় যন্ত্র।

বর্তমানে বাজারে প্রচলিত পেসমেকারগুলোকে হৃদপিণ্ডে প্রতিস্থাপন করতে অস্ত্রোপচার বা সার্জারি প্রয়োজন হয় এবং যদি পেসমেকারের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়, তবে সেটি বের করার জন্যও অস্ত্রোপচার করা হয়। তাছাড়া, পেসমেকার একটি ব্যাটারিচালিত যন্ত্র হওয়ায় তার ব্যাটারির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তা রিচার্জ বা প্রতিস্থাপন করতে হয়, যা একটি ঝামেলাপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।

তবে, নতুন তৈরি এই পেসমেকারটি সিরিঞ্জের মাধ্যমে হৃদপিণ্ডে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব, যার ফলে কোনো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে না। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এটি তারবিহীন, অর্থাৎ বাইরে থেকে কোনো তারের মাধ্যমে রিচার্জ করা যাবে না।

নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী দলটির প্রধান জন এ রজার্স জানিয়েছেন, পেসমেকারটিতে একটি গ্যালভানিক সেল রয়েছে, যা একটি সরল ব্যাটারি হিসেবে কাজ করে এবং রাসায়নিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *