

ভারতে বাংলাদেশি ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের পর এবার ইউটিউব থেকেও কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টের চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছে। এসব চ্যানেল ভারতে আর দেখা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
তথ্য যাচাইকারী সংস্থা ডিসমিসল্যাব প্রথমে জানায়, যমুনা, একাত্তর, বাংলাভিশন, মোহনা, সময় ও ডিবিসি নিউজের ইউটিউব সম্প্রচার ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে সাংবাদিক কনক সরওয়ার, ইলিয়াস হোসাইন, জুলকারনাইন সায়ের এবং সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের চ্যানেলও ভারতে ব্লক হয়ে যায়। এ বিষয়ে ইউটিউব থেকে পাঠানো মেইল তারা নিজেরা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ৬৯(ক) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিজিটাল সামগ্রী যদি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়, তাহলে সরকার সেটি বন্ধের নির্দেশ দিতে পারে। ভারতীয় দর্শকরা এসব চ্যানেলের ঠিকানায় প্রবেশ করলে “এই কনটেন্ট এই দেশে দেখানোর অনুমোদন নেই” বার্তাটি দেখতে পাচ্ছেন।
এর আগে ভারত পাকিস্তানের বিভিন্ন চ্যানেলও একই আইনের আওতায় বন্ধ করে দেয়। তখন কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের ডন, জিও নিউজ, সামা টিভি এবং সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেলও নিষিদ্ধ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “আমরা ইউটিউবের কাছে ব্যাখ্যা চাইব। যদি যথাযথ কারণ না পাই, তাহলে বাংলাদেশও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে।”
ঘটনাটি বাংলাদেশে স্বাধীন মতপ্রকাশ ও তথ্যপ্রবাহের ওপর আঞ্চলিক চাপের দিকটি সামনে নিয়ে এসেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এ ধরনের পদক্ষেপ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, সংবাদপাঠ এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।