

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্পষ্ট করেছেন যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে হয়েছে; এতে কোনো আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা বা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ছিল না।
নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক সম্প্রচার সংস্থা এনওএসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে সন্ত্রাসবাদ ব্যবহারের বিরুদ্ধে ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগ রয়েছে এবং এই হুমকির জবাবে ভারত কঠোর পদক্ষেপ নিতে অধিকারী।
২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে একটি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানের সমর্থনের অভিযোগ করে। তবে পাকিস্তান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উত্তরে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে অভিযানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদ করে ক্ষেপণ চালায়। জয়শঙ্কর জানান, এই অভিযান চলমান রয়েছে কারণ এর মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দেয়া হচ্ছে যে, এই ধরনের হামলার প্রতিক্রিয়া কঠোর হবে।
যদিও অপারেশন চলছে, জয়শঙ্কর জোর দিয়ে বলেন এটি সরাসরি যুদ্ধ নয় এবং বর্তমানে একটি যুদ্ধবিরতি ও সামরিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। তিনি জানান, ১০ মে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় এবং ভারত তা মেনে নেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করলেও জয়শঙ্কর বলেন, যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণ দিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যকার বিষয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি কে তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেন এবং বলেন, এটি শুধু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বিষয়। জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা সবার কাছে স্পষ্ট করে বলেছি—যদি পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধ করতে চায়, তারা আমাদের জানান। আমরা এটা তাদের সেনাপতির মুখে শুনতে চাই, আর সেটাই হয়েছে।”
এই বক্তব্য দিয়ে ভারত যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ায় মার্কিন হস্তক্ষেপ বা মধ্যস্থতার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে এবং বিষয়টিকে সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক মনে করছে।
সূত্র: এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে।