কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি শুধু দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ও অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদিও বড় ধরনের যুদ্ধের সম্ভাবনা এখনই দেখা যাচ্ছে না, তবুও উভয় দেশকে সংযত আচরণ করতে হবে। যুদ্ধের জন্য এখনকার বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কোনো যৌক্তিকতা নেই, আর তা আন্তর্জাতিক মহলেও গ্রহণযোগ্য হবে না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তারেক ফজল বলেন, “ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা অনেক সময় রাজনৈতিক কূটচালের ফল। বাস্তবতা হলো, অনেক সংঘাতের মূলেই রয়েছে পরিকল্পিত উস্কানি।” তাঁর মতে, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্বার্থও অনেক সময় এ ধরনের উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম রাশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, “এই উত্তেজনার প্রভাব শুধু সীমান্তে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সার্কভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর মধ্যে ইসরায়েলের মতো তৃতীয় পক্ষের সক্রিয়তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।”
জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুই পক্ষকে সংযত আচরণের আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারও জানিয়েছে, তারা এই দ্বন্দ্বে পক্ষ নেবে না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে এখন কূটনৈতিকভাবে আরও সক্রিয় ও সতর্ক থাকতে হবে, যেন উত্তেজনার ঢেউ দেশীয় অর্থনীতি ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতায় প্রভাব না ফেলে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron