

দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। একে অপরের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ করছে উভয় দেশ।
শনিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান তাদের বিভিন্ন বিমানঘাঁটিতে হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করেছে। কর্নেল সোফিয়া কোরেশি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, পাকিস্তান ইতোমধ্যে ভারতের অন্তত পাঁচটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হেনেছে।
পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, “অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস” নামের অভিযানে ভারতের আদমপুর, উধমপুর, পাঠানকোট, সুরতগড় ও সিরসা বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সংরক্ষণ কেন্দ্র, সরবরাহ ডিপো এবং প্রশিক্ষণ স্থাপনাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, তারা একইসঙ্গে সাইবার হামলাও চালিয়েছে, যার প্রভাবে ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকেও পাল্টা হামলার কথা বলা হয়েছে। ভারত ‘অপারেশন সিন্ধুর’ নাম দিয়ে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বলে জানায়।
সাম্প্রতিক এই উত্তেজনা শুরু হয় ভারতের পহেলগামে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ওপর এক প্রাণঘাতী হামলার পর। ভারত হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দায়ী করে।
উভয় দেশের গণমাধ্যম ও সামরিক সূত্র একাধিক হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন শক্তিধর রাষ্ট্র সংঘাত বন্ধে সংযম ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে বলে মত বিশ্লেষকদের।