মঙ্গলবার (২৮ মে) দিবাগত রাত ২টা ২৪ মিনিটে রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫.২ মাত্রার একটি মাঝারি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি প্রায় কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। এতে ঘুম ভেঙে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে বাড়ির বাইরে বের হয়ে আসেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মনিপুর রাজ্যের মোইরাং শহরের কাছাকাছি, যা বাংলাদেশের সিলেট থেকে প্রায় ২১৭ কিলোমিটার দূরে। উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৪৭ কিলোমিটার (২৯ মাইল) গভীরে, যা তুলনামূলকভাবে একটি অগভীর কম্পন হিসেবে ধরা হয়।
ভলকানো ডিসকভারি নামক ভূকম্প সংক্রান্ত ওয়েবসাইট বলেছে, অগভীর উৎসস্থলের কারণে কম্পনটি ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে, যা গভীর ভূমিকম্পের তুলনায় বেশি ঝাঁকুনির সৃষ্টি করে।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ২ মিনিটে ৩.৪ মাত্রার একটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল, যার উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের চিন হাখা অঞ্চল, যা সিলেট থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দূরে। এছাড়া, গত ১১ এপ্রিল বিকেল ৫টা নাগাদ ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আরেকটি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। সেই সময়ও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থান করায় ঘন ঘন এই ধরনের ভূমিকম্প ঘটছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তারা নাগরিকদের সচেতনতা বাড়ানো ও ভবন নির্মাণে ভূমিকম্প সহনশীল নীতিমালা অনুসরণ করার ওপর জোর দিচ্ছেন।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron