

ময়মনসিংহে দায়রা জজ আদালতের একজন বিচারকের বাসায় ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত ও তৎপর অভিযানের ফলে মাত্র ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে চোরকে গ্রেপ্তারসহ চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থের একটি বড় অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ২২ এপ্রিল সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে। কোতোয়ালী থানাধীন পন্ডিতপাড়া এলাকার মুমিনুন্নেছা এক্সএল টাওয়ারের ৯ম তলার ৯-জি ফ্ল্যাটে অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা মূল দরজার তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। চোরেরা বাসার কাঠের আলমারির ড্রয়ার ভেঙে প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নং-৭৩, তারিখ-২২/০৪/২০২৫ ইং, ধারা-৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড)। এরপর ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমের সরাসরি নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি বিশেষ টিম দ্রুত অভিযানে নামে।
গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ওই রাতেই তারাকান্দা থানাধীন কান্দাপাড়া (বনপাড়া) এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখানে থেকে চুরির ঘটনার মূল অভিযুক্ত মোঃ জুয়েল মিয়া (৪২) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বসতঘর থেকে চুরি হওয়া এক জোড়া স্বর্ণের বালা, এক জোড়া চুরি, দুটি স্বর্ণের চেইন, দুই জোড়া কানের দুল, তিনটি স্বর্ণের আংটি এবং নগদ এক লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম মোঃ জুয়েল মিয়া (৪২), পিতা মৃত বাবুল মিয়া। তিনি মূলত চরকালিবাড়ী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে তারাকান্দা থানাধীন কান্দাপাড়ায় বসবাস করছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আসামি একজন পেশাদার চোর এবং তার বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক চুরি ও মাদক সংশ্লিষ্ট মামলার তথ্য রয়েছে। স্থানীয় সূত্র ও পিসি/পিআর যাচাইয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এই ঘটনার মাত্র ১৬ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ যে দক্ষতা ও দ্রুততার সঙ্গে রহস্য উদঘাটন করে মালামাল উদ্ধার করতে পেরেছে, তা সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি এনে দিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাকি চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং এই ধরনের অপরাধ রোধে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।