
মোঃ মিঠু মিয়া
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধা মা-ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (মাতৃসদন) অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির আয়া থেকে শুরু করে ভিজিটর—কোনও কর্মচারীর কাছে টাকা ছাড়া গর্ভবতী নারীদের ন্যূনতম সেবাও পাওয়া যায় না।
অভিযোগে জানা গেছে, এখানে গর্ভবতী রোগীরা ভর্তি হলে চিকিৎসা সামগ্রী থেকে শুরু করে সাধারণ সাবান পর্যন্ত নিজ খরচে কিনতে বাধ্য হন। এমনকি ডেলিভারির পরও রোগীর কাছ থেকে জোরপূর্বক দুই হাজার পাঁচশ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন আয়া ও ভিজিটররা।
এ বিষয়ে রোগীদের অভিযোগের তীর ছুটছে ভিজিটর লায়লা বিনতে ফিরোজ (FWV), রাহেলা খাতুন (FWV), জান্নাতুল ফেরদৌসী (FWV), তৈহিদা বেগম (FWV), দিতি বেগম (আয়া), বেনু বেগম (আয়া), সাকোয়ারা (আয়া), রুবি বেগম (দাইনা্ছ) সহ একাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয়, লুৎফন নাহার লুচি নামে এক নারী মূলত ফিমেল অ্যাটেনডেন্ট পদে কর্মরত থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে অফিস সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কাগজপত্রে তার এসব কাজের উল্লেখ না থাকলেও ক্ষমতার জোরে তিনি পুরো অফিস নিয়ন্ত্রণ করছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভিজিটর রাহেলা খাতুন ও লায়লা বিনতে ফিরোজ অবৈধভাবে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। এই কালো টাকার পাহাড় কীভাবে গড়ে উঠছে, তা নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী রোগীরা জানিয়েছেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে একাধিকবার মানববন্ধন, মিছিল ও সভা-সমাবেশ হলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তারা জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং মাতৃসদনের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন।