ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মিরপুর এলাকায় ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করতে টানা তিনদিন অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে মিরপুর ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে ডিএনসিসির অঞ্চল-৪ এর বাসিন্দাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক গণশুনানিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রশাসক বলেন, “আমরা শুধু একদিন অভিযান চালিয়ে থেমে যাব না। দিনে ও রাতে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চলবে। আগামী সপ্তাহে মিরপুর-১ থেকে মিরপুর-১৩ পর্যন্ত টানা তিনদিন অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। ফুটপাত বা রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা করা যাবে না। তবে যারা বৈধভাবে ব্যবসা করতে চান, তাদের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।”
তিনি আরও জানান, আগামী মাস থেকে মিরপুরের প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এক নাগরিকের প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, “বর্তমানে ঘরে বসেই অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করা যায়। আগে ঘুষের অভিযোগ শোনা যেত, এখন সেটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে।” তিনি আরও জানান, জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়াও পুরোপুরি অনলাইনে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে জনগণের ভোগান্তি কমে।
হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় সহজ করতে আগামী মাসে ডিএনসিসি একটি ‘ট্যাক্স ফেয়ার’ আয়োজন করবে বলেও জানান তিনি। করদাতারা সেখানে কর প্রদান করলে বিশেষ ছাড় পাবেন।
গণশুনানিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ফুটপাত দখল, মশার উৎপাত, স্ট্রিট লাইট সমস্যা, জলাবদ্ধতা, খাল উদ্ধারের উদ্যোগ, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অনিয়ম, এবং খেলার মাঠ পুনরুদ্ধারসহ নানা সমস্যা তুলে ধরেন।
জবাবে প্রশাসক বলেন, “মশক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নির্দিষ্ট এলাকায় দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। তাদের নাম ও ফোন নম্বরসহ তালিকা ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গণশুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা, বাজার কমিটির সদস্য, যুব প্রতিনিধি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron