

তারুণ্যের অধিকার আদায়ের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে সৃষ্টি হওয়া সাময়িক যানজট ও নাগরিক দুর্ভোগের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দুঃখ প্রকাশ করা হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
তিনি বলেন, “তরুণদের ভোটাধিকার হরণ আজও জাতীয় সংকট। এটি শুধু সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন নয়, বরং রাষ্ট্র পরিচালনায় তরুণদের মৌলিক অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত করার একটি নিষ্ঠুর উদাহরণ।”
তিনি আরও বলেন, “দেশজুড়ে কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একটি জাতীয় ঐক্যের ইঙ্গিত পেয়েছি এবং দেখেছি নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক জাগরণ। তারা ভোটাধিকারকে ভবিষ্যৎ নির্মাণের শক্তি হিসেবে দেখছে।”
এক মাসব্যাপী কর্মসূচির সফল সমাপ্তি
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার আলোকে দেশের তরুণ সমাজকে নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক মুক্তি’ শীর্ষক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচি চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও ঢাকায় দুই দিনব্যাপী আটটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার, দ্বিতীয় দিনে সমাবেশ। লাখো তরুণের অংশগ্রহণে এই আয়োজন ছিল প্রাণবন্ত এবং তা তরুণদের রাজনীতি ও উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করা হয়।
তরুণদের ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি
মোনায়েম মুন্না বলেন, “এই আয়োজন ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ। তরুণদের ভাবনা, প্রত্যাশা ও সমস্যা ছাড়া গণতন্ত্র টেকসই হতে পারে না। এই কর্মসূচি একটি বৃহৎ নীতিগত উদ্যোগ, যা তরুণদের রাষ্ট্রচিন্তায় সম্পৃক্ত করার প্রয়াস।”
তরুণ শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি তরুণদের কেবল ভোটার নয়, বরং রাষ্ট্রের স্থপতি হিসেবে দেখে। তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনের কেন্দ্রে রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।