যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনা ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হুমকি সম্পর্কে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠি পাঠিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচিকে এ চিঠিসহ মস্কো পাঠানো হয়।
খামেনীর পাঠানো চিঠিতে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক আলোচনার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা নিয়ে মস্কোকে অবহিত করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “তেহরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় না আসে, তাহলে ইরানি তেল আমদানিকারক তৃতীয় দেশগুলোর ওপরও শুল্ক আরোপ করা হবে।” একই সঙ্গে তিনি ইরানে বোমা হামলারও হুমকি দেন।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সেখানে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। এর আগে ওমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা উভয় পক্ষই 'ইতিবাচক ও গঠনমূলক' বলে উল্লেখ করেছে। পরবর্তী দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ইতালির রোমে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদেই সরে দাঁড়ায়। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে এসে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
রুশ প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, প্রেসিডেন্ট পুতিন আব্বাস আরাঘচিকে ক্রেমলিনে স্বাগত জানাবেন। এদিকে ইরানি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি জানিয়েছেন, “চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ আমাদের দীর্ঘদিনের রীতি। এবার সেই আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এসেছে।”
তিনি আরও বলেন, পুতিনকে পাঠানো চিঠিতে কেবল পারমাণবিক আলোচনা নয়, আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ও উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা শক্তিগুলোর অভিযোগ—ইরান যে মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করছে, তা বেসামরিক ব্যবহারের চেয়ে অনেক এগিয়ে এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথে রয়েছে। তবে তেহরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে, দাবি করছে—তাদের কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ বেসামরিক ব্যবহারের জন্যই।
সূত্র: রয়টার্স
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron