

পবিত্র রমজান মাসে মাংস, ডিম ও দুধের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ১ থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম চালু রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
রবিবার থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাজেটের আওতায় ‘প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ’ নামে বিশেষ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হয়েছে এবং বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যেখানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বেশি, সেসব স্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে ঢাকায় ২৫টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। রবিবার থেকে এ কার্যক্রমের পরিধি আরও বাড়িয়ে ঢাকা শহরে ২৩টি, নারায়ণগঞ্জে ৩টি এবং ৭টি বিভাগীয় দফতরে ১৪টি নতুন বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র থেকে ড্রেসড ব্রয়লার, ডিম, পাস্তুরিত দুধ ও গরুর মাংস সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।
মূল্য তালিকা অনুযায়ী, ডিম প্রতি ডজন ১০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, পাস্তুরিত দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত ১৯ মার্চ পর্যন্ত এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ৬ লাখ ৯ হাজার ৪৩০ ক্রেতার কাছে ১৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকার বেশি মূল্যের প্রাণিজ পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। ফলে বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।
চলমান ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র:
ঢাকায় সচিবালয়, ফার্মগেট, মিরপুর, আজিমপুর, বনশ্রী, মতিঝিল, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, তেজগাঁওসহ ২৫টি স্থানে এ কার্যক্রম চলছে।
নতুন যুক্ত কেন্দ্র:
ঢাকায় আরও ২৩টি স্থানের মধ্যে আসাদ গেট, লালমাটিয়া, শংকর প্লাজা, পল্টন, গাবতলী, মিরপুর ৬, কচুক্ষেত, বসুন্ধরা, মগবাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে চাঁনমারি ডিসি অফিস, চাষাড়া চত্বর ও তারকার মাঠ কুতুবপুরে নতুন করে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।