রাকিব হাসান হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক মন্ত্রী কামরুল ও সাবেক বিচারপতি মানিককে

print news
img

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আইটি জেড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাকিব হাসান হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। একইসাথে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশও দেন আদালত।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক মিজান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে আবেদন করেন যাতে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। শুনানি শেষে আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে, পুলিশ তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে।

২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সেন্ট জোসেফ স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাকিব হাসান গুলিবিদ্ধ হন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর নিহতের চাচা মো. নুরুল আমিন ২২ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ৮৭ জনকে আসামি করা হয়। কামরুল ইসলাম ও শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ২৪ আগস্ট সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পালানোর সময় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে ১৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকেও গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের একাধিক মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

এ মামলায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করা হয়েছে। একইসাথে তারা দাবি করছে, আগের সরকারের সময় সংঘটিত দমন-পীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিচারও এই প্রক্রিয়ার অংশ হওয়া উচিত।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মামলার ফলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিচার কার্যক্রম সামনে এগিয়ে গেলে তা দেশের রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *