

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটনসহ প্রায় ৭৪৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি করা হয়েছে গত ১২ মে, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত হামলার ঘটনায়। মামলার বাদী সিজান নামের এক আন্দোলনকারী, যিনি বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আওয়ামী লীগের ১৪৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ রয়েছে এবং বাকি ৬০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছেন। অভিযোগ গুলো হলো গুলি বর্ষণ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম, দলবদ্ধভাবে পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা এবং ককটেল বিস্ফোরণ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট দুপুরে সিজানের নেতৃত্বে সাত শতাধিক ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন মোড় থেকে স্বৈরাচার সরকারের পতনের দাবিতে শহরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। খরবোনা সাঁকোর কাছে পৌঁছানোর পর ওৎ পেতে থাকা আসামিরা মিছিলে হামলা চালায়। ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলীর কার্যালয়ের সামনে তারা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ শুরু করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। এতে বাদী সিজান গুরুতর জখম হন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণ ও বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে মিছিলে হামলা চালানো হয়।
মামলার অন্যতম আসামি অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা বর্তমানে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে, তিনি কখনো ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেননি। তবে মামলার বাদী গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। মামলার অন্য আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটনসহ অন্যান্য অনেক নেতাকর্মী পলাতক রয়েছেন। বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ জানান, মামলাটি গত ১২ মে রেকর্ড করা হয়েছে এবং এখন তদন্ত চলছে। আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।