আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে পারেন আঞ্চলিক যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে থাকা ৪৯ আরোহী। রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, বিমানে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনাটি ঘটে চীন সীমান্তসংলগ্ন আমুর অঞ্চলের টাইন্ডা শহরের পথে। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে উড়োজাহাজটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। এখনও এর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে খারাপ আবহাওয়া, যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা যোগাযোগ ব্যবস্থার ত্রুটিকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় দপ্তর জানায়, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ছিল Antonov An-24 মডেলের, পরিচালনায় ছিল সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইন। ১৯৭৬ সালে তৈরি সোভিয়েত যুগের এই বিমানটি রাশিয়ার দুর্গম অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এর নিরাপত্তা নিয়ে আগে থেকেই নানা প্রশ্ন রয়েছে।
উদ্ধারকারী দল একটি পাহাড়ি বনাঞ্চলে উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। স্থানীয় গভর্নর ভ্যাসিলি অরলভ এক বিবৃতিতে জানান, বিমানে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে ৫ জন শিশু ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ৬ জন ক্রু সদস্যও ছিলেন বিমানে।
ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে। তারা বিমানটির শেষ রেডিও বার্তা, ফ্লাইটপথ এবং প্রযুক্তিগত অবস্থার তথ্য বিশ্লেষণ করছে।
রাশিয়ায় পুরনো মডেলের বিমান নিয়ে এ ধরনের দুর্ঘটনা নতুন নয়। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফ্লাইটগুলোতে বারবার নিরাপত্তা ঘাটতির অভিযোগ উঠেছে। এই দুর্ঘটনাও সেই প্রশ্নগুলো নতুন করে সামনে এনেছে।
দৈনিক নব জাগরণ/Daily Nobo Jagoron
Email : newsnobojagoron@gmail.com
Nobo Jagoron