

দীর্ঘ সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার খুলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন “অবিলম্বে” শান্তিচুক্তির লক্ষ্যে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দুই ঘণ্টার ফোনালাপের পর এক বিবৃতিতে ট্রাম্প এ কথা জানান।
যদিও এখনো চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কোনো সময়সীমা নির্ধারিত হয়নি, তবে আলোচনার সম্ভাবনা ইতোমধ্যেই কূটনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে।
পুতিন জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তি সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই উদ্যোগকে “গুরুত্বপূর্ণ মোড়” বলে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজেকে সরিয়ে নেয়, তাহলে একমাত্র লাভবান হবেন পুতিন।” তিনি দাবি করেন, শান্তি আলোচনা হবে পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির ভিত্তিতে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন ট্রাম্পের উদ্যোগকে “প্রশংসনীয়” বলে উল্লেখ করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় সক্রিয় থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি জানিয়েছেন, পোপ লিও যে ভ্যাটিকানকে আলোচনার ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব করেছেন, সেটিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় নেতারা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন।
এর আগে রাশিয়া একাধিক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। উভয় পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এবার নিরবচ্ছিন্ন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি দাবি করা হয়েছে।
পুতিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির নির্দিষ্ট সময়সীমা এখনো নির্ধারণ হয়নি। তবে ট্রাম্প দ্রুত কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে আগ্রহী।